আজ এই কালনিশি ভোরে-
স্বপনে শুনেছি মধুর মঙ্গল-ধ্বনি-আকাশ জুড়ে।
১। ডুবেছে চন্দ্র তারা, আকাশে আঁধার ভরা চেতনহারা
প্রাণী নিঃশব্দ সংসারে।
বেজে উঠল দূতের বাণী মধুমাখা সুরে,
“তোরা জেগে উঠে বস জগদ্বাসী দেখবি যদি নয়ন ভরে।”
২। চেয়ে দেখ মেলে নয়ন, ওঠে ঐ ত্রাণের মতন,
ভেসে গেল ত্রিভূবন আলোকের জোয়ারে।
খুলে গেছে সোনার দুয়ার আনন্দ নগরে
নরের সাধনের ধন ঈশ্বর নন্দন এসেছে আজ মর্তপুরে।
৩। আনন্দে হয়ে মত্ত, চলেছে পথিক যত
দেখিতে নবজাত ঈশ্বর কুমারে
দায়ুদ নগরে বৈৎলেহেমের গোশালার ভিতরে
ঐ দেখ ফুটেছে সেই সোনার পদ্মরূপে ত্রিলোক আলো করে।
৪। ধন্য আজ এ ধরনী, ধন্য সেই গুণমণি
ধন্য তাঁর প্রেম তরণী সংসার পারাবারে।
পার হয়ে সব পাপী তাপী যাবে, অমরপুরে হবে নামের গুণে
শমন দমন, দুঃখ-তাপ পলাবে দূরে।
৫। “জয় যীশু যীশু” বলে, আয় মোরা যাই সকলে
তাঁহার সেই চরণতলে পূজিতে তাঁহারে!
“জয় যীশু, জয় যীশু” বল সবে উচ্চঃস্বরে, কর আনন্দ গান
গাও যীশু নামে, বল ঐ নাম বদন ভরে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন