বড় চমৎকার বন্দরে এসে
তরীখান মোর লেগেছে এবার
তোমার ঐ চরণে হে কাণ্ডারী, বারংবার করি নমস্কার।
১। উজান জলে ঝড়ের হাওয়া, গুরু গুরু ডাকে দেয়া
ছিল আকাশ পাতাল ছাওয়া, কাল মেঘের অন্ধকার
এখন সেই নিশি ভোর পোহাইয়াছে, এসে সেই বন্দরের ভিতর।
২। ছিল না জীবনের আশা, ভয়ঙ্কর সেই কর্মনাশা
নদীর মধ্যে প’ড়ে দিশা, তখন ছিল না আমার
তুমি কি শক্তি দেখালে মাঝি, দীনহীনে করলে উদ্ধার।
৩। আজ সেই বিপদ গেছে কেটে, এসে এই বন্দরের ঘাটে
কাণ্ডারী আমার নিকটে এসে দাঁড়াও হে একবার
আমার ধন ও প্রাণ যা সম্বল আছে, তোমার পায়ে আজ দেই উপহার।
৪। এই বন্দরের ঘাটে থেকে, ডাক দিলে পরম পিতাকে
কেবলমাত্র দুই এক ডাকে, বুঝি পাওয়া যায় উত্তর
বুঝি বেশী দুর নয় সেই রাজপুরী, যেখানে আছে মন্দির তাঁর।
৫। গাইলে গান এই ঘাটে বসে, গানের সুর বাতাসে ভেসে
যায় বুঝি সেই পরম দেশে-স্বর্গের পিতার গোচর
গাব পিতার জয়গান নেচে নেচে প্রাণের বীণায় তুলে ঝঙ্কার।
তরীখান মোর লেগেছে এবার
তোমার ঐ চরণে হে কাণ্ডারী, বারংবার করি নমস্কার।
১। উজান জলে ঝড়ের হাওয়া, গুরু গুরু ডাকে দেয়া
ছিল আকাশ পাতাল ছাওয়া, কাল মেঘের অন্ধকার
এখন সেই নিশি ভোর পোহাইয়াছে, এসে সেই বন্দরের ভিতর।
২। ছিল না জীবনের আশা, ভয়ঙ্কর সেই কর্মনাশা
নদীর মধ্যে প’ড়ে দিশা, তখন ছিল না আমার
তুমি কি শক্তি দেখালে মাঝি, দীনহীনে করলে উদ্ধার।
৩। আজ সেই বিপদ গেছে কেটে, এসে এই বন্দরের ঘাটে
কাণ্ডারী আমার নিকটে এসে দাঁড়াও হে একবার
আমার ধন ও প্রাণ যা সম্বল আছে, তোমার পায়ে আজ দেই উপহার।
৪। এই বন্দরের ঘাটে থেকে, ডাক দিলে পরম পিতাকে
কেবলমাত্র দুই এক ডাকে, বুঝি পাওয়া যায় উত্তর
বুঝি বেশী দুর নয় সেই রাজপুরী, যেখানে আছে মন্দির তাঁর।
৫। গাইলে গান এই ঘাটে বসে, গানের সুর বাতাসে ভেসে
যায় বুঝি সেই পরম দেশে-স্বর্গের পিতার গোচর
গাব পিতার জয়গান নেচে নেচে প্রাণের বীণায় তুলে ঝঙ্কার।
-প্রিয়নাথ বৈরাগী (১৯২৯ খ্রীঃ)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন